১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

লিবিয়ায় বিদেশী হস্তক্ষেপে ক্ষোভ।। মাদারল্যান্ড নিউজ

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় বিদেশী হস্তক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত গাসান সালাম। ওদিকে দেশটিতে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এরই মধ্যে সেখানে সেনা পাঠানো শুরু করেছে তুরস্ক। দেশটির পার্লামেন্ট লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব পাস করার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ধীরে ধীরে সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দু’ঘন্টা বৈঠক শেষে এমন প্রেক্ষাপটে গাসান সালাম বলেন, সবাই শুধু লিবিয়া নিয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু খুব কম মানুষই লিবিয়ার মানুষ, তাদের কি ঘটছে তা নিয়ে কথা বলতে চান। এমনটা দেখে সত্যিকারভাবে আমি ক্ষুব্ধ। তিনি আরো বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। লিবিয়ার মানুষ যথেষ্ট দুর্দশার শিকার হয়েছেন। এ সময় গাসান সালামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডের (জিএনএ) সরকারের সমর্থনে লিবিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে। জবাবে সালাম বলেছেন, বিভিন্ন ভাবে বিদেশী হস্তক্ষেপে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হয়েছে লিবিয়া। এসব দেশকে আমি যা বলতে চাই তা খুব পরিষ্কার। তাহলো, লিবিয়া থেকে বেরিয়ে যাও। লিবিয়ার ভিতরে পর্যাপ্ত অস্ত্র আছে। আর অতিরিক্ত কোনো অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। তিনি আরো বলেন, লিবিয়ায় এখন প্রচুর পরিমাণ বিদেশী সেনা আছে। তাই বিদেশী সেনা পাঠানো বন্ধ করুন। লিবিয়ায় আছে শত শত সম্ভবত হাজার হাজার বিদেশী যোদ্ধা। উল্লেখ্য, সোমবার লিবিয়া ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গাসান সালামের সঙ্গে এ অধিবেশনের পর পরিষদ লিবিয়ার অস্থিরতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে এবং বিদেশী হস্তক্ষেপ বন্ধের  প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করছে। ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার জিএনএর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার। গত গ্রীষ্ম থেকে তাকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়ান সেনারা। তবে এমন কর্মকাণ্ডের সেনাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এ অবস্থায় ২০১১ সাল থেকে লিবিয়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানান গাসান সালাম। তিনি বলেন, লিবিয়ার আতঙ্কগুলো লিবিয়া ছেড়ে যাও। তার ভাষায়, এ অবস্থায় আমরা সব দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে যেতে বলি। কারণ, সামরিক উপায়ের মধ্যে এসব সমস্যার কোনো সমাধান নেই। এ সময় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছার ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করেন সালাম।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ